সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে গেলে কি আজকাল যন্ত্রণায় মুখ কুঁকড়ে আসছে? হাঁটুর ব্যথাটা জানান দিচ্ছে এভাবে ওঠা সম্ভব নয়? একটাসময় হাঁটু কিংবা কোমরের ব্যথা ছিল বয়স্ক ব্যক্তিদের সমস্যা। হাড়ের জোর কমে আসায় এমন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া স্বাভাবিক। তবে বর্তমানে ত্রিশের কোঠায় পৌঁছালেই হাজির হচ্ছে এ ব্যথা।
অফিসে এক জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকা, ব্যস্ততার কারণে শরীরচর্চার অভাবে মূলত এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে হাঁটুতে ব্যথা হলেই ওষুধ খেতে হবে, তার কোনও মানে নেই, ঘরোয়া টোটকাও কিছু আছে। হাঁটুতে ব্যথা আটকাতে কী কী নিয়ম মানবেন?
দীর্ঘ সময় এক স্থানে বসে থাকা, ব্যস্ততার কারণে শরীরচর্চা না করা ইত্যাদি কারণে কমবয়সে হাঁটু ব্যথা হয়ে থাকে। অনেকেই এমন ব্যথা সামলাতে ওষুধের শরণাপন্ন হন। কিন্তু হাঁটুতে ব্যথা হলেই যে ওষুধ খেতে হবে এর কোনো মানে নেই। কিছু ঘরোয়া টোটকাও এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন। চলুন জেনে নিই হাঁটু ব্যথা নিরাময়ে কী কী নিয়ম মানবেন-
ব্যায়াম করুন
হাঁটুতে একবার ব্যথা হলে তা সহজে কমতে চায় না। তাই কিছু ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে ব্যথার হাঁটুর পেশি নমনীয় থাকবে, ব্যথা কমতে কম সময় লাগবে। হালকা হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো কিংবা যোগব্যায়াম— নিয়ম মেনে যেকোনোটিই করতে পারেন। তবে পায়ে চোট লেগে থাকলে এ ধরনের ব্যায়াম শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সেঁক দিন
হাঁটু ব্যথার কারণ যা-ই হোক, ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে আরাম পাবেন অবশ্যই। তবে কখনই সরাসরি বরফ দেওয়া ঠিক নয়। ঠান্ডা সেঁক দিতে আইস প্যাক ব্যবহার করুন কিংবা কোনো সুতি কাপড়ে বরফ বেঁধে নিন। ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার পরে হালকা করে কোনো ব্যথার মলম লাগিয়ে রাখুন। এতে আরাম মিলবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
সবসময় যে চোট লেগেই ব্যথা হবে, এমন নয়। হাঁটুব্যথার একটি বড় কারণ হলো ওজন। শরীরের ভার যত বাড়বে, হাঁটুর ওপর তত চাপ পড়বে। আর তাতে ব্যথাও বেশি হবে। ওজন কমানোর সবরকম চেষ্টায় মন দিন। তাতে সমস্যার অনেকটাই সমাধান মিলবে।