মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২১, ২০২৫
  
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * নতুন মামলায় সালমান-আনিসুল-পলকসহ গ্রেপ্তার ৮   * হিমেল বাতাসে কাহিল দিনাজপুরবাসী   * অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে বাবর   * দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা আরও কমবে   * উল্টে যাওয়া ট্যাংকার থেকে তেল সংগ্রহে ভিড়, বিস্ফোরণে নিহত ৭০   * গাজায় ত্রাণ সহায়তায় প্রস্তুত ১৩০০ ট্রাক: ইউনিসেফ   * ৭ ডিগ্রিতে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা, শীতে কাবু জনজীবন   * জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ   * মধ্যরাতে জাবির ছাত্রী হলে যুবক, পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা   * মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে: তারেক রহমান  

   সারাবাংলা
কচুর লতিতে চাষিদের মুখে হাসি
  Date : 20-05-2024
Share Button

অন্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভজনক কচুর লতি। পুষ্টিগুণে ভরা এই সবজি চাষে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কৃষকরা। এ ফসলে কোনো ঝুঁকি না থাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন এখানকার কৃষকরা। কচু ক্ষেত থেকে বাড়তি ফসল হিসেবে পাওয়া যায় এই লতি।

ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে কচুর লতি চাষ হচ্ছে।স্থানীয়ভাবে লতিরাজ জাতের কচু অনেকের কাছে জনপ্রিয় সবজি। ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধি ও ভালো বাজারমূল্য পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কচুর লতি চাষিদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় কচুর লতি চাষ ভালো হয়েছে এবার।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কচু গাছের বহুমুখী ব্যবহার হয়। প্রথমত, কচুর পাতা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়, কচুর শক্ত শরীর ও কচুর লতি পুষ্টিকর তরকারি হিসেবে এবং কচুর গাছ থেকে মূল বা চারা হিসেবেও বিক্রি করা যায়। সঠিক পরিচর্যায় ও সব খরচ বাদে এক বিঘা জমিতে কচুর লতি আবাদে প্রতি মৌসুমে অনায়াসে দেড় লাখ টাকা লাভ করা যায় কোনো ঝুঁকি ছাড়াই। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ কচুর লতি ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। যা সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

মুশুদ্দি এলাকার কৃষক আল-আমিন বলেন, ‘চারা রোপণের আড়াই মাসের মধ্যে লতি আসে। যা টানা ৭ মাস বিক্রি করা যায়। এক বিঘা জমিতে রোপণ থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। প্রতি সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার লতি স্থানীয় হাটে বিক্রি করতে পারি। প্রতি কেজি লতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ঝামেলা কম ও কম খরচে কচুর লতি চাষ করা যায়। এতে কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। গরু ছাগল কচু খায় না এবং তা দেখাশোনার জন্য বাড়তি কোনও লোকেরও প্রয়োজন হয় না।

কিষাণী জাবেদ বেগম বলেন, ‘আমি চলতি মৌসুমে ৩৩ শতক জমিতে কচুর লতি চাষ করেছি। এতে অনেক লাভ করেছি; যা অন্য কোনও ফসল থেকে সম্ভব নয়। কচুর লতির প্রচুর চাহিদা থাকায় জমি থেকে তুলে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে নেয়ামাত্রই তা বিক্রি হয়ে যায়। তাই আগামীতে কৃষি অফিসের পরামর্শে দ্বিগুণ জমিতে কচুর লতি চাষ করবো।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, বর্তমানে কচুর চেয়ে লতির চাহিদা বেশি। উপজেলার কৃষকরা বেশি লাভজনক হওয়ায় কচুর লতি চাষের দিকে ঝুঁকছেন। বিঘা প্রতি ৯০ থেকে ১০০ মণের উপরে লতি পাওয়া যায়। আগ্রহী কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল কচুর চারা সরবরাহ করাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কচুর লতি চাষে জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায়।



  
  সর্বশেষ
প্রথম দিনই বাইডেনের একগুচ্ছ নীতি বাতিলের ঘোষণা ট্রাম্পের
ফের মেয়াদ বাড়ল ৬ সংস্কার কমিশনের
মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে রাতে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশক ও সম্পাদক : ফাতেমা ইসলাম তানিয়া
সম্পাদক কর্তৃক বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরেরপুল ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ।
২১৯ ফকিরেরপুল (১ম গলি ২য় তলা), মতিঝিল ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত । মোবাইল : ০১৮৩৪-৮৯৮৫০৪ ই-মেইল :
E-mail : alordiganto2021@gmail.com