দূষণ থেকে কোনোভাবেই বেরিয়ে আসতে পারছে না ঢাকা। প্রতিদিনই বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ওপরের দিকেই থাকছে বাংলাদেশের রাজধানীর নাম।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল আটটায় বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। সবচেয়ে বেশি দূষিত শহর হিসেবে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোরের নাম।
আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, সাতসকালে ২৮০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, মানের দিক বিবেচনায় যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। ৪২৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে লাহোর, যা বায়ুমানে ‘বিপজ্জনক’ বা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে ধরা হয়।
এছাড়া ১৯৮ স্কোর নিয়ে ভিয়েতনামের হ্যানয় তৃতীয় এবং ১৮৭ স্কোর নিয়ে ভারতের দিল্লি চতুর্থ অবস্থানে আছে।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো না কি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
প্রতিষ্ঠানটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এই ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।
এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০০ এর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ বা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বায়ুদূষণে ঢাকার নাম প্রায়ই শীর্ষ দশে থাকে। শীতকালে এলে দূষণের মাত্রা বেশি বাড়ে। তবে বর্ষাকালে কিছুটা ভালো থাকে।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।